গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় শুধু করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমছে ব্রহ্মপুত্র নদসহ ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি। ফলে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অনেক স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেসব স্থান মেরামতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় মানুষ। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বিপদসীমার উপরে ও তিস্তার পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপরে, ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি কাটাখালি পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে। আর করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ৫৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৭৪টি গ্রামের দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৬ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৯০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২০ হাজার ৩৫৩ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সাত উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম। তারা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি কমছে। শুধু করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে মেরামত কাজ চলছে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৭)