ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : কলেজ শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন ময়মনসিংহের গৌরীপুর শহর উত্তাল তখন এই ঘটনার জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপিকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধূ ভূষণ দাস নিশ্চিত করেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে লাঞ্চিত করা, দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উপজেলার আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৬জনের মধ্যে ৪৭জন উপস্থিত ছিল বলে নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, এটা কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত। অব্যাহতির বিষয়টি জেলা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরী হয়ে থাকে।

দুই তৃতীয়াংশের স্বাক্ষর ও সভাপতির সভাপতিত্ব ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অবৈধ উল্লেখ করে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এম.পি জানান, এ সভায় কোন ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি/সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন না। এ সভায় অধিকাংশরাই ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির মেম্বার ছিল না।

রাত সোয়া ৯টার দিকে কার্যকরি কমিটির সিদ্ধান্ত সাধারণ সম্পাদক বিধূ ভূষণ দাস জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিব বিদ্রোহীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এ সময় শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। দলীয় নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণও করেন। এছাড়াও অব্যাহতি প্রাপ্ত সভাপতির সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের যোগাযোগ না করার আহ্বান জানিয়ে সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে আকবর মাইক সার্ভিসের মাধ্যমে শহরে প্রচারণা চালানো হয়।

(এসআই/জেএ/জুন ২৮, ২০১৪)