নিয়াজমোরশেদ, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) : নাম ঠিকানাহীন নিম্নমানের পশু খাদ্য বিক্রি হচ্ছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। এসব প্রতিকারে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ পোল্ট্রি ফিডের দোকানে।

নামি কোম্পানির মোড়ক নকল করে এ সকল প্রোল্টিন খাবার বাজারে আসছে। আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাশ হচ্ছে।

আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ অফিস ও প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে নিম্নমানের এই খাবার হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের।

বাজারে এম.জে হাউস ফিড নামে নিম্নমানের প্রোটিন খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। লাভ বেশি হওয়ার কারণে এ সকল খাবার বিক্রিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন ফিড ব্যবসায়ীরা। বাজারে নামী ব্র্যান্ডের কোম্পানির ভাল প্রোটিন খাদ্য থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে কম। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সনদ না নিয়ে পৌরসদরের স্টেশন রোডে মেসার্স জোবায়ের টেডার্স প্রোপ্রাইটর জহুরুল ইসলাম মানে এক ব্যাক্তি এসব নকল ফিড নওগাঁর একটি ফিড মিল থেকে তৈরি করে বাড়িতে এনে ২৫ কেজী কপ্যোকিং করে বাজারের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিড ব্যবসায়ী বলেন, এ ধরণের নি¤œমানের ফিড উপজেলার বিভিন্ন ফিডের দোকানে ও মুদিখানার দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এসব খাদ্যে কোন গুনগত মান নেই নেই কোন প্রতিষ্ঠানের নাম। বাজারে এসব ফিডের দাম কোম হওয়ার কারনে নামী দামী ব্রান্ডের ফিড মানুষ তেমন কিনছেন না। যার কারনে নি¤œমানে ফিড মুরগী ও গোবাদীপুশুকে খাওয়ানোর কারনে আশানরোপ কোন লাভ হচ্ছে না। ফলে আমরা ফিড ব্যবসায়ী সহ খামারীরা লোকসানের মুখে পরছি।

এম.জে হাউস ফিডের ডিলার জহুরুল ইসলাম বলেন,আমি নওগাঁ থেকে এসব খাদ্য তৈরি করে এনে বাড়িতে প্যাকিং করে বাজারে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করি। এসব খাদ্য মানুষ গুরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনে থাকে এতো কোন ক্ষতি হবে না।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা.রাশেদুল আলম বলেন, লোক মুখে শুনেছি বাজারে এম.জে হাউস ফিস নামে নি¤œমানের প্রোটিন খাদ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ডিলার ও দোকান মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


(এনএম/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৭)