শঙ্কার নাম বৈরী আবহাওয়া
ঈদযাত্রা মধুর করতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন
দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী : আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা মধুর করতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করা যাত্রীদের হয়রানী রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
ঈদযাত্রা মধুর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন একসাথে ভূমিকা রাখতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের পারাপার নিবিঘ্নে হতে পারে বলে আশা করেছে এ রুট ব্যবহারকারী যাত্রী সাধারণ। তবে তারা শঙ্কা হিসাবে বৈরী আবহাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
এ রুট ব্যবহার করা যাত্রীরা জানিয়েছে, গতবছর নদীর পানিবৃদ্ধি ও ব্যাপক নদীভাঙ্গনে দৌলতদিয়ার চারটি ফেরিঘাট মারাত্বর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘাটগুলো জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষার চেষ্ট করে কর্তৃপক্ষ। অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে ৩ এবং ৪ নং ফেরিঘাট। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে এ ঘাট দুটি বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পরবে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিইটিসি সূত্রে জানিয়েছে, দৌলতিয়া-পাটুরিয়া রুটে ৪টি ঘাট দিয়ে বর্তমানে ১৫টি ফেরি রয়েছে যার মধ্যে ৭টি বড় ফেরি ও ৮ টি ছোট ফেরি রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীদের জন্য আরো ৩টি ফেরি এ রুটে যুক্ত করা হবে যার মধ্যে ১টি ফেরি চলাচল করতে শুরু করছে। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে যদি অতিরিক্তি বৃষ্টিপাত না হয় তবে যে ৪টি ঘাট রয়েছে সেগুলো অপারেশন করতে পারলে যাত্রীপারাপারে কোন সমস্যা হবে না।
দৌতলদিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আলী মোল্যা জানান, বর্তমানে ৩৩টি লঞ্চের মধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ২২টি এবং ১১টি আরিচা-কাজীরহাট রুটে চলাচলা করলেও ঈদের সময় ৫টার পরে লঞ্চগুলো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে যুক্ত হবে।
নতুন ঘাট নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার স্বর্তে বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা মধুর করতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশ মতে ঈদের আগে অর্থাৎ চুক্তির ২মাস আগেই আমরা চেষ্টা করছি একটি ঘাট অন্তত হস্তান্তর করতে।
তিনি বলেন, তরিঘরি করে কাজ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ হবার সম্ভবনা থাকার কারনে আমরা ঝুঁকি নিচ্ছি না। তবে ঘাট নতুন ঘাট নির্মাণের সাথে যুক্ত কোকিল সরদার জানান ঈদের কাজ নতুন ফেরিঘাটের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।
জেলা প্রশাসক মো শওকত আলী জানান, আমরা ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঈদযাত্রা মধুর করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বেশ কিছু সিধান্ত গ্রহন করেছি যেগুলে বাস্তবায়ন করতে পারলে ঘরেফেরা মানুষের সুন্দর একটি ঈদযাত্রা উপহার হিসাবে দিতে পারবো।
অতিরিক্ত ভাড়া প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, লঞ্চের দৃশ্যমান কোন স্থানে ভাড়া-যাত্রী ধারণ ক্ষমতা টানানো থাকবে যেখান থেকে ভাড়া বেশি নেবার কোন সুযোগ নেই।
(ডিবি/এসপি/জুন ১৯, ২০১৭)