বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫.০৪ শতাংশ
স্টাফ রিপোর্টার : সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার হতে পারে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। তবে বিশাল এ বাজেটে ঘাটতি পরিমাণ জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। যা টাকার অংকে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
গত ৫ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম বাজেট ঘাটতি জিডিপির পাঁচ শতাংশ অতিক্রম করছে। ২০১৫-১৬ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাঁচ শতাংশ করে ঘাটতি ছিল বাজেটে। আর ২০১৩-১৪ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে আগামী বাজেটে বেশি ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য বিশাল এ বাজেটে ঘাটতি ৫ শতাংশের কিছু বেশি রাখা হচ্ছে।
আগামী বাজেটে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার বিশাল এ ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ৪৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ঋণ নেবে। বাকি অর্থ ব্যাংকবহির্ভূত দেশীয় ও বিদেশি ঋণের মাধ্যমে পূরণ করবে।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সংশোধিত বাজেটের মূল আকার কমছে। এরপরও ঘাটতি পরিমাণ বেশি দেখানো হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতি উচ্চাভিলাষী, আগেও বলেছি। ফলে তা অর্জন সম্ভব হবে না।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বড় বাজেট দিতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এ বাজেট হবে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে চতুর্থ বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ১১তম বাজেট।
(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৭)