আজ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৭ মে শ্রমিক নেতা, শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় তাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে রোববার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়া রয়েছে পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণিকা প্রকাশ , আলোচনা ও স্মরণ সভাসহ।
এদিকে, দিবসটি পালনে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে সকাল ৯টায় আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় পরিবারের পক্ষ থেকে হায়দরাবাদে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ, বাদ আসর টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। পরে বিকেলে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা রয়েছে।
গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এরআগে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই মেয়াদে পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
এছাড়া আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীসহ সব স্তরের মানুষকে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেন এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানও এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে সবাইকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
(ওএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৭)