দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দিনাজপুর জিলা স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোছাঃ দুলালী (১৪) নামে এক কাজের মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত দুলালী বেগম জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ১৫মিনিটে আহত অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দিনাজপুর শহরের বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সামাদের ছেলে জিলা স্কুলের শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান তার বাড়ী গৃহপরিচারিকা মোছাঃ দুলালী (১৪) কে আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব জ্যোতি সিনহা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হত্যার পর পরিকল্পিত ভাবে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে মোঃ আনিসুর রহমান উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বাড়ীর বারান্দার রেলিং সাথে ঝুলানো রশিতে খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে আহত হয়। এরপর তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।

কোতয়ালী থানার এসআই বারী বলেন, গৃহ পরিচারিকা মোছাঃ দুলালী পড়ে গিয়ে ঘরের দরজায় আঘাত লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বলে এমনটি তাকে জানিয়েছেন গৃহকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান। তাকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব জ্যোতি সিনহা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে নিহত মোছাঃ দুলালীর মাথায় এবং গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এটি হত্যাকান্ড না নিছক দুর্ঘটনা ময়না তদন্তের পরে জানা যাবে।

কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ রেদওয়ানুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এনআইএন/এসপি/এপ্রিল ১১, ২০১৭)