রাজারহাটে গভীর নলকুপ বিকল: ইরি-বোরো আবাদে সেচ ব্যাহত
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদাসিনতায় গভীর নলকূপ অচল হয়ে পরায় শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫০ একর জমির ইরি-বোরো আবাদ বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। জমিতে সেচ দিতে না পারায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফলে এ এলাকায় ইরি-বোরো ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
ভূক্তভোগী কৃষকরা জানান, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চকনাককাটি মৌজায় রাজারহাট ইউনিটের আওতায় বৃরজেআক্ষুসপ্র প্রকল্পের অধীনে ১ কিউসিক ফোর্স মোড গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ইরি বোরো আবাদের জন্য গত ২২জানুয়ারী থেকে গভীর নলকূপটি বিদ্যুৎ দিয়ে চালু করা হয়। এ নলকূপের আওতায় ওই এলাকার শতাধিক কৃষক ৫০একর জমিতে ইরি-বোরো চারা রোপন করেন। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই গভীর নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। যা অন্যান্য গভীর নলকূপের চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশী লাগে।
ওই গভীর নলকূপের ম্যানেজার খোরশেদ আলম জানান, যেখানে অন্যান্য গভীর নলকূপে ঘন্টায় ৭-৮ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়, সেখানে এ নলকূপে ২৮-৩০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এতে সাধারণ সেচ পাম্পের তুলনায় দ্বিগুন খরচ হবে বলে ভূক্তভোগীরা জানান।
এছাড়া ওই গভীর নলকূপের ম্যানেজার অভিযোগ করেন, গভীর নলকূপ দেয়ার সময় অফিস থেকে ২টি মই, ফিতা পাইপ, ওয়ার্রিং বোর্ড ও তারসহ সরঞ্জামাদী সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা বিএডিসি কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করেনি। বিকল হওয়ার ব্যাপারে ম্যানেজার সাবমার্সিবল পাম্পটি পরিবর্তনের জন্য ৩ বার আবেদন করলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সে নিরুপায় হয়ে পড়েছে।
ভূক্তভোগী কৃষক তপেশ চন্দ্র, মেহের আলী, পুস্পরঞ্জন, বিশ্বজিৎ কুমার ও বিনোদ বিহারী সহ অনেকে জানান, বিএডিসির গভীর নলকূপের আওতায় আমরা এবার প্রথম ইরি ধান লাগাই। কিন্তু নলকূপটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা রোপা জমিতে সেচ দিতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এবারে ঘরে ফসল তুলতে পারবো না। অতিকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতে হবে।
রোববার (১৯ মার্চ) গভীর নলকূপের রাজারহাট ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত দিপক কুমার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
(পিএমএস/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৭)