বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকুলের দুবলায় মাছ আহরণ কালে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ তিন জেলের সন্ধান ১০ দিনেও মেলেনি। উদ্ধার হয়নি ডুবে যাওয়া ট্রলারটি। এ ঘটনায় ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। সুন্দরবন  বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডুবন্ত ট্রলার সহ নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা উদ্বেগ উৎকন্ঠা।

শরণখোলা থানার জিডি ও দুবলা জেলে পল্লীর শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনার কাছাকাছি অফিস কিল্লা এলাকার মাঝের খালের মুখে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার বহদ্দার নিয়ন্ত্রনাধীন “এফ.ফি খাজা বাবা” নামের একটি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ শেষে দুবলা পল্লী এলাকায় ফিরছিলো। এ সময় পথিমধ্যে হঠাৎ ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় ট্রলারে থাকা ১০ শ্রমিকের মধ্যে ৭ জন সাঁতরে কিনারে আসতে পারলেও বাঁশখালীর গুনাগরী এলাকার বাসিন্দা পেন্টাল দাসের ছেলে রবীন্দ্রজল দাস (৫০), চট্টগ্রামের বানিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত: বিধু ভূষণ দাসের ছেলে দুলাল দাস (৩৩) ও বাঁশখালী এলাকার সৈয়দ বসুর ছেলে আবু হানিফ রসু (৪৭) নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজদের উদ্ধারে ২২ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকদের মহাজন সুতাসেন বহদ্দার ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য বন বিভাগ সহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি ২৬ ফেব্রুয়ারি শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ডায়রী নং- ৯৪১। কিন্তু ঘটনার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও নিখোঁজ ৩ শ্রমিক কিংবা ট্রলার কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিল, পূর্ব সুন্দরবনের সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মংলা শাখার স্টাফ অপারেশন অফিসার লে. কর্ণেল ফরিদ উজ্জামান জানান, বিষয়টি তারা অবগত আছেন। ট্রলার সহ নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে তাদের যৌথ অভিযান অব্যহত রয়েছে।

(একে/এএস/মার্চ ০৩, ২০১৭)