গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের পশ্চিম মইলাকান্দা গ্রামে ২টি মন্ডপের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় নব্য ধর্মান্তরিত পুর্ব মইলাকান্দার সুভাষ সরকারের পুত্র মোঃ সুমন হোসেন (২০) ও পুর্বধলা উপজেলার শুভঘাই গ্রামের মৃত জব্বর ফকিরের পুত্র মোঃ খালিদ হাসান (২৮) কে গ্রেফতার করে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। কাউরাট গ্রামে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ইতিপূর্বে পুলিশ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ভাংচুরকৃত মন্ডপ এলাকা পরিদর্শন করেন আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি। এ সময় তিনি দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

একই ইউনিয়নের ২টি গ্রামে ৪টি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর/১৬) হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে স্থানীয় পাবলিক হলে জরুরী বৈঠক করেন। মইলাকান্দা ইউনিয়নে ৪ডিসেম্বর রবিবার রাতে দুবৃর্ত্তরা দুটি মন্দিরে প্রবেশ করে কালি, শিব ও অসুরের মাথা ভেঙ্গে ও নাগ মূর্তির চুরি, ১৮ ডিসেম্বর রবিবার রাতে পশ্চিম মইলাকান্দার কালি মন্দিরের কালি মূর্তি ম-মালা ও সিতলা মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করে।

ঘটনাস্থল দফায় দফায় পরিদর্শন করেন ইউএনও মর্জিনা আক্তার, গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল জাকির ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহ্ম্মদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সভাপতি ননী গোপাল দত্ত, পৌর সভাপতি চন্দন কুমার এস। দুর্বৃত্ত্বরাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে চন্দন কুমার এস বলেন, সকল ধর্মের লোকজন শতবর্ষ যাবৎ বিরোধহীন সম্প্রীতির বন্ধনে দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রীতি নষ্ট করতে কোন কুচর্ক্রী মহল এ কাজ করেছে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ জানান, মুর্তি ভাঙ্গিয়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ক্ষতি সাধনের অপরাধে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্তকরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে ও ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৫জন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(এসআইএম/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৬)