মকবুল রাজাকার, আর নুলা মুসা বুঝি রাজাকার নয় ?
প্রবীর সিকদার
আইনের কয়টা চোখ? জামায়াত আমীর মকবুলের জন্য একটা, আর রাজাকার নুলা মুসা তথা ড. মুসা বিন শমসেরের জন্য আরেক চোখ? ১৭ জুলাই ২০১৫ থেকে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের মূল পাতায় রাজাকার নুলা মুসার একাত্তরের কুকীর্তি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই অনলাইন পোর্টালের নৈতিক সিদ্ধান্ত, যতদিন রাজাকার নুলা মুসার বিচার শুরু না হবে ততদিন নুলা মুসার একাত্তরের কুকীর্তির ওই বয়ান পোর্টালের মূল পাতাতেই থাকবে।
একাত্তরের কুকীর্তির ওই খবর ৩১ হাজার ফেসবুক সদস্য শেয়ার করেছে সারা পৃথিবী জুড়ে। তারপরও নুলা মুসার খবর চোখে দেখেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ! কিন্তু জামায়াত আমীর রাজাকার মুকবুলের একাত্তরের কুকীর্তির খবর একদিন কোন অনলাইনে প্রকাশ পেতে না পেতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার চোখে পড়ে যায় সেটা, আর শুরু হয়ে যায় তদন্ত ! আজব আইনের চোখ ! মকবুলের জন্য এক আইনের চোখ, আর নুলা মুসার জন্য আইনের চোখ আরেকটি ! আর তাইতো বিবিসি বাংলার খবরে জানতে পারি, বাংলাদেশে জামায়াতের ইসলামের আমীর হিসাবে শপথ নেওয়ার চারদিনের মাথায় মকবুল আহমাদের 'যুদ্ধাপরাধ' অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান আব্দুল হান্নান খান বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, একটি অনলাইন খবরে মি আহমাদের বিরুদ্ধে দুটো সুনির্দিষ্ট অপরাধের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তার সত্যতা তারা অনুসন্ধান করবেন। তিনি বলেন, আইনে তাদের এ ধরণের অনুসন্ধান করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। 'কারো মুখে কিছু শুনলেও আমরা তদন্ত করতে পারি।'
আমার প্রশ্ন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে , রাজাকার নুলা মুসার একাত্তরের কুকীর্তি নিয়ে তদন্ত করতে এতো অনীহা কেন আপনাদের?
প্রিয় পাঠক, উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের 'জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের ' - শিরোনামের নিউজ লিংক নিচে দেওয়া হল :
জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
(ওএস/অ/অক্টোবর ২১, ২০১৬)