দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী : ঘটনার ৪ দিনের মাথায় অবশেষে শিক্ষকের মারধরের স্বীকার হাসপাতালে ভর্তি আহত স্কুল ছাত্রী সুবর্নাকে দেখতে গেল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এইচএম রকিব হায়দার।

সোমবার দুপুর দেড় টায় তিনি বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি ঐ স্কুল ছাত্রীর খোঁজ খবর নেন এবং তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আমিনুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় অফিসার আব্দুল আলিম, ডা: অশোক কুমার মোদক, ডা: সরোজ কুমার মন্ডল।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাচলাকালীন সময় পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক স্বপন মোদক ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তেতুলিয়া গ্রামের আজাদ হোসেনের মেয়ে সুবর্নাকে চর থাপ্পড় মারতে থাকেন। এসময় সুবর্না অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাবার মাধ্যমে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। ঐ দিন বিকালে সুবর্না আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে এলাকায় সুধী সমাজের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও অদৃশ্য কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শিক্ষকরা তাঁদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারছে না বলেই এমন ঘটনা বালিয়াকান্দিতে বার বার ঘটছে। সূত্র থেকে আরো জানা যায়, যেহেতু বাংলাদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গর্ভনিং বোর্ডের সভাপতি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা হয়ে থাকে তাই অনেক শিক্ষকের খারাপ আচরন নিয়ে ভয়ে মুখ খোলা থেকে বিরত থাকেন এলাকার সাধারন মানুষেরা।

অবশেষে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার ৪ দিনের মাথায় ঐ ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেন।

(ডিবি/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০১৬)