সোনালী ব্যাংকের কর্মচারীদের মারমুখী আচরণ!
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সোনালী ব্যাংকে নানা অব্যবস্থাপনা এবং কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে গ্রাহকসেবা অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বহুসংখ্যক পেনশন গ্রহিতাদের তাঁদের পেনশন এবং নতুন স্কেলে ফিক্সেশনকৃত পেনশন বই ফেরত না দিয়েই একরকম জোরপূর্বক ব্যাংক থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দু’একজন পেনশনগ্রাহক ক্ষোভপ্রকাশ করলে ব্যাংকের স্থানীয় প্রভাবশালী কর্মচারী এসে তার প্রতি মারমুখি হয়ে ঠেলতে ঠেলতে ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছে। একটি সরকারি ব্যাংকের সেবার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখায় রবিবার সকাল ১০টা থেকেই ব্যাংকের অন্যান্য প্রচলিত গ্রাহকসেবা গ্রহণের পাশাপাশি প্রবীণরা পেনশন গ্রহণের জন্য লাইনে দাঁড়ায়। কাউন্টারে একজন মাত্র কর্মচারী পেনশন গ্রহিতাদের পেনশন প্রদান করতে থাকেন। পাশাপাশি নতুন স্কেলে পেনশন নির্ধারনের জন্য পূর্বেই জমা দেয়া ফিক্সেশনকৃত পেনশবই ফেরত নেয়ার জন্যও বহুসংখ্যক পেনশনহোল্ডার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন সেই সকাল ১০ টা থেকেই। কিন্তু একজন মাত্র মহিলা ষ্টাফ কেবলমাত্র পেনশন প্রদান করে যাচ্ছেন। ফিক্সেশনকৃত বই ফেরত নেয়ার লাইন বাড়তেই থাকে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়। এক পর্যায়ে ব্যাংকিং সময় পেরিয়ে গেলে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে দিনভর রোজা থাকা অতিষ্ঠ প্রবীণদের কেউ কেউ মৃদু ক্ষোভ প্রকাশ করলে ওই ফ্লোরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তার ওপর চড়াও হয়। বিশেষ করে বেলাল হোসেন নামে এক কর্মচারী ওই প্রবীণ ব্যক্তির ওপর চড়াও হয়ে ঠেলতে ঠেলতে ব্যাংক থেকে বের করে দেন। তিনি স্থানীয় হওয়ায় তার এই প্রভাব। এক পর্যায়ে তিনি নিজে গিয়ে যিনি পেনশন প্রদান করছিলেন তাকে কাউন্টার থেকে জোরপূর্বক তুলে দিয়ে পেনশন দেয়া বন্ধ করে দেন। জোরে জোরে বলতে থাকেন, ব্যাংকিং সময় পার হয়ে গেছে। আর কিসের লেন দেন। বলে সবগুলো কাউন্টার বন্ধ করে দেন।
তখন বাধ্য হয়ে শতাধিক পেনশন-গ্রহিতা পেনশন না নিয়েই এবং দেড় শতাধিক পেনশন গ্রহিতা ফিক্সেশনকৃত বই না নিয়েই বিবর্ণমুখে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। এ ব্যাপারে ব্যাংকের ম্যানেজার আশরাফুল জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বললে, তিনি একেবারে নির্বিকার থাকেন। কোন উত্তর দেননি তিনি।
(বিএম/পি/জুন ২৬, ২০১৬)