জোবায়েদ সুমন: ১৯৬৭ সালের ২৫ জুন কুষ্টিয়ার থানাপাড়ায় রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহন করেন বাংলা গানের অন্যতম এক শ্রেষ্ঠ গীতিকবি মিল্টন খন্দকার। কুষ্টিয়া মুসলিম হাইস্কুল থেকে এস এস সি পাশ করে বাংলাদেশের একমাত্র সংগীত মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

গানের শুরু সংগীত কলেজে ভর্তি হবার পর থেকে নয় বরং ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি অনুরক্ত। ওস্তাদ খন্দকার মিজানুর রহমান বাবলু’র কাছে সারগামের হাতেখড়ি। সংগীত মহাবিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ওস্তাদ নারায়ণ চন্দ্র বসাকের কাছ থেকে তালিম নেন। কিছুদিন গান শিখেছিলেন বন্ধু ও ওস্তাদ শংকর রায়-এর কাছে।

মূলত শিল্পী হাসান চৌধুরী‘র ‘সেই তুমি’ অ্যালবাম দিয়ে মিল্টন খন্দকারের সংগীতাঙ্গনে আত্নপ্রকাশ ১৯৮৮ সালে। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

তারপর সারা দেশের লোকজন যখন ডলি সায়ন্তনী‘র ‘হে যুবক ’ অ্যালবামটি হাতে পেলো ততদিনে মিল্টন খন্দকার সংগীতাঙ্গনে একজন তারকা বনে গেলেন। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় দু‘শোর কাছাকাছি একক অ্যালবাম, যার গীতিকার ও সুরকার হিসেবে আছেন তিনি।

বাংলা চলচ্চিত্রে আছে মিল্টন খন্দকারের গান। চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় একশো’র উপরে। ২০১৪ সালে ‘খোদার পরে মা’ সিনেমার গানের জন্য তিনি লাভ করেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। সব মিলিয়ে তার গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।

মিল্টন খন্দকারের গান করেননি বিগত তিন চার দশকে এমন শিল্পী বাংলা গানে খুব কমই আছেন। তারপরও হাসান চৌধুরী, মনির খান, বাদশা বুলবুল, ডলি সায়ন্তনী, এস ডি রুবেল, তপন চৌধুরী-সহ আরও অনেকে আজ জনপ্রিয় মিল্টন খন্দকারের গানে।

অত্যন্ত সাদামাটা, নিরঅহংকারী ও শিশুদের মতো কোমল হৃদয়ের অধিকারী এই মানুষটির আজ জন্মদিন। দৈনিক বাংলা ৭১ ও উত্তরাধিকারের পক্ষ থেকে তাকে জন্মদিনের অনাবিল শুভেচ্ছা।

(জেএস/এস/জুন২৪,২০১৬)