জয়পুরহাটে হামলায় আহত ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
জয়পুরহাট প্রতিনিধি :জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি গত ৭ দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার ভোরে ঢাকার পপুলার বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। গত ৫ জুন রাত ১০ টায় এ কে আজাদ সহ দুই জনকে কুপিয়ে ও গুলিতে আহত করে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত। এ কে আজাদের ছোট ভাই সরোয়ার হোসেন স্বাধীন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভাদশা ইউনিয়নের দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ সঙ্গে পবিত্র নামে একজনকে নিয়ে কোচকুড়ি নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গোপালপুর নামক স্থানে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলের গতি থামিয়ে চেয়ারম্যান আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং গুলি করে। এ সময় সঙ্গে থাকা পবিত্রের চিৎকারে নয়ন নামে এক পথচারী চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। দুর্বৃত্তরা এ সময় নয়নকেও গুলি করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পপুলার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
একে আজাদ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভাদশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ঘটনায় একে আজাদ চৌধুরীর ছোট ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েক দফা অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান।
(ওএস/এস/জুন ১২,২০১৬)