বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত কয়েক দিন থেকে অব্যাহত কাল বৈশাখী ঝড়, ভারি বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওর এলাকার অনেক নীচু জমির বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়েছে সোনালি ফসল। কষ্টার্জিত বোরো ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

শিলাবৃষ্টি ও পানিতে তলিয়ে হাকালুকি হাওর এলাকার সুজানগর, তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের বোরো ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বড়লেখা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুর্যোগ আক্রান্ত হয় ১৫০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১১৫ হেক্টর জমি এবং ফসল হানি হয়েছে ৪৩১.২৫ মে.টন। আর্থিকভাবে এ ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। তবে সরকারি হিসাবের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণটা আরো বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কৃষক রাধা গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এবার ১৫ খিয়ার জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করি। এর মধ্যে প্রায় ৬ খিয়ার জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৫ খিয়ার জমি শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’ ফসল হারিয়ে আমি এখন দিশেহারা।

সুজানগর ইউনিয়নের শালদিগা গ্রামের কৃষক নরেশ দাস বলেন, ‘ধান কাটার লাগি কামলাও পাওয়া যার না। এক খিয়ার কাটতে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মজুরী চায় কামলারা। একদিকে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ধান কাটাতে অতিরিক্ত মজুরী দেওয়া লাগলে ধান তুলিয়া কিতা করতাম।’

বড়লেখা কৃষি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন (১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের আউশ প্রনোদনার মাধ্যমে সার, বীজ ও মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।’




(এলএস/এস/এপ্রিল১৯,২০১৬)