স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের সময় পেছানো হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ‘পছন্দমত ভেন্যু না পাওয়ায়’ ও ‘দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে’ সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে ১৪ মে করা হয়েছে।

রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আগামী ১৪ মে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সম্মেলনের প্রথম ধাপের কার্যক্রম চলবে। ওখানে আমাদের দেশি-বিদেশি অতিথি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, আমাদের ডেলিগেট-কাউন্সিলর ও কর্মীরা অংশ নেবেন। বিকেলে মূল সম্মেলন চলবে, যেখানে কাউন্সিলররা তাদের ভোট প্রয়োগ করে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।’

সম্মেলন পেছানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারিতে সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে আমরা জেলা ও থানা কমিটিগুলো দিয়ে শেষ করতে পারিনি। তাই ১৬ এপ্রিল সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম।’

‘কিন্তু আমরা পছন্দমত ভেন্যু পায়নি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। সে কারণে আমরা ১৪ মে সম্মেলন করছি’ যোগ করেন তিনি।

সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের আগেই আমাদের সমস্ত জেলা কমিটিগুলো দিয়ে দেওয়া হবে। যে সাতটি জেলার সম্মেলন বাকি আছে সেগুলোর তারিখ ঠিক করা হয়েছে। আর সম্মেলনের জন্য একাধিক উপ-কমিটি কাজ করছে।’

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। শুরুতেই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু ৬ষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে দ্বি-বার্ষিকের পরিবর্তে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

দীর্ঘ ৩০ বছরে অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আসলে সম্মেলন নিয়মিত করতে পারছি না। প্রতিবারই যে সঠিক সময়ে সম্মেলন করছি তাও নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৪, ২০১৬)