গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলে পুরানো টায়ার গলিয়ে জ্বালানী তেল তৈরি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ কামাল হোসেন (৫০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নরসিংদীর চরসিন্দুর এলাকার বাসিন্দা কামাল ওই কারখানার সুপারভাইজার ছিলেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে বয়লার বিষ্ফোরণ থেকে লাগা আগুনে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ ৫ জন নিহত হন। পরদিন সকালে ঢামেক হাসপাতালে দগ্ধদের মধ্যে আবদুল কাদের (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়।

কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই মালিক জমি ভাড়া নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক এলাকায় কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

এদিকে হতাহতের ঘটনায় সোমবার রাতে কারখানার মালিকসহ ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার পূবাইল ফাঁড়ির এএসআই মো. গোলাম সরোয়ার বাদি মামলাটি দায়ের করেন। আসামীরা হলেন কারখানা মালিক গাজীপুরের বসুগাঁও পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত ইছহাক হাওলাদারের ছেলে মো. ইমান উদ্দিন (৪৭), কারখানার ম্যানেজার মো. শাহীন (৩৫) ও জমির মালিক গাজীপুরের বড় কয়ের গ্রামের দুদু বেপারীর ছেলে বাছেদ বেপারী (৬৫)। এঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলার বাদি এএসআই গোলাম সরোয়ার জানান, নিহতদের পরিবারের লোকজন এককভাবে মামলা দায়ের করতে অনিহা প্রকাশ করায় উর্ধতন কর্তপক্ষের নির্দেশে তিনি বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

(এএসএ/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০১৬)