কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ঘন কুয়াশার কারণে নাগেশ্বরীর জামতলা এলাকায় নাইটকোচ ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) তার শিশু পুত্র জীম ইসলাম (১০) ও মিল্লাত হোসেন (৮)।
অপরদিকে উত্তর ব্যাপারীহাট কদমতলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়। নাগেশ্বরীতে একই দিনে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃর্ত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুরখামার কাইটটারী গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) তার শিশু পুত্র জীম ইসলাম (১০) ও মিল্লাত হোসেনকে (৮) মোটরসাইকেলে নিয়ে নাগেশ্বরী কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ‘শিশু বিতানে’ যাচ্ছিলেন। কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়কের জামতলায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘আদর’ এন্টারপ্রাইজ নামের নৈশকোচ ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে জিম নিহত হয়।
এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও ছেলে মিল্লাত হোসেনকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রংপুর হাসপাতালে দুপুর দেড়টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম ও শিশুপুত্র মিল্লাত হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার দিকে রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
অপরদিকে সকাল ৮ টায় একই সড়কের উত্তর ব্যাপারীহাট কদমতলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রায়গঞ্জ রতনপুর রাঙ্গালীরবস গ্রামের আব্দুস সবুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (৫৫) পিছন থেকে একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠায়। দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরজাহান মৃত্যবরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ মোটরসাইকেল চালক গাগলা এগারমাথা গ্রামের আব্দুল মালেককে আটক করেছে। এ ব্যাপারে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রংপুর থেকে লাশ আসলে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৫, ২০১৬)