বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম কর্তৃক স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ি ও স্কুল কমিটির সভাপতিকে নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখমের সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমেছে গৌরনদী সার্কেল এএসপি নাঈমুর রহমান।

এদিকে রবিবার দুপুরে এমপি বাড়ি যাবার পথে সেরাল গ্রাম অতিক্রমকালে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ওসি মনিরুল ইসলাম।

রবিববার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার নাঈমুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি সেরাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও কাঠ ব্যবসায়ি আসাদুজ্জামান সেরনিয়াবাত বাদলের সাথে দেখা করে তার বক্তব্য শোনেন।

দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল আগৈলঝাড়াদক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের সিরুর দোকান এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।

এএসপি নাঈমুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ঘটনার স্বত্যতা স্বীকার করে আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কবে নাগাদ তদন্ত রিপোর্ট জানা জাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খ্বু শিঘ্রই পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন বাদলের চাচা জুলফিকার আলী জানান, ঘটনার পরপরই বাদলের সু-চিকিৎসার সকল দ্বায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় এমপি ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

আহত বাদল স্থানীয় সেরাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।

স্বেচ্ছাচারি ওসি মনিরুল ইসলামের বিচার ও অপসারণের দাবীতে রবিবার সেরাল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে মানববন্ধন ও এমপি’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীর কথা থাকলেও এমপি’র বিচারের আশ্বাসে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বালে জানান স্কুল কতৃপক্ষ।

অন্যদিকে রবিবার সকালে সেরাল স্কুল কর্র্তৃপক্ষ জরুরী সভা করেছেন। বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান, কালু মোল্লা, হেমায়েত উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মেদ, শিক্ষক মাওলানা আ. কুদ্দুস, শৈলেস তপাদার, গোলাম রসুল সাবেক সদস্য গোলাম নবী ও আহতর চাচা জুলফিার আলী এমপি হাসানাতের বাস ভবনে সাক্ষাত করে ওসির বিচার ও অপসাণের দাবী জানান। এসময় এমপি ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে সকলকে আস্বস্ত করেন।

প্রসংগত, শনিবার দুপুরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিন শিহিপাশা গ্রামের সিরুর দোকানের রাস্তায় পাশে ব্যবসায়ি বাদলের রাখা গাছের সাথে ওসির গাড়ি বাধে। তাৎক্ষনিক ওসি মনিরুল ইসলাম গাড়ী থেকে নেমে বাদলকে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এমপি’র কাছে বাদল মারধরের বিচার চাইতে গেলে থানার গাড়িচালক মোকলেচুর রহমান এমপির বাড়ির গেটের সামনে পুনরায় তাকে মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনায় বরিশাল পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান তাৎক্ষনিক ড্রাইভার মোকলেসকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করলেও অজ্ঞাত কারনে ওসি এখনও বহাল তবিয়তে।

(টিবি/এইচআর/জানুয়ারি ১৭, ২০১৬)