আগৈলঝাড়ায় পুলিশী নির্যাতনে ব্যবসায়ি হাসপাতালে
বরিশাল প্রতিনিধি : ঢাকার পর এবার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ওসির নেতৃত্বে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গাছ ব্যবসায়ি এখন হাসপাতালে। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপিয়ে তাৎক্ষনিক এক কনষ্টবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হলেও স্বয়ং ওসি এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
আহত ব্যবসায়ি ও স্থানীয় একাধিক বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সেরাল গ্রামের আবু সেরনিয়াবাতের ছেলে গাছ ব্যবসায়ি বাদল সেরনিয়াবাত শনিবার দুপুরে দক্ষিন শিহিপাশা গ্রামের সিরুর দোকান এলাকায় চা খাচ্ছিল। ওই পথ দিয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম থানার পিকাপ নিয়ে এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সেরালের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় সড়কের পাশ্বে রাখা গাছ তার গাড়িতে বাধলে ওসি মনিরুল ইসলাম ব্যবসায়ি বাদলকে গাছ রাখার জন্য গালাগাল করে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওসি মনিরুল ইসলাম গাড়ি থেকে নেমে বাদলকে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। আহতাবস্থায় বাদলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা এমপির বাড়িতে নিয়ে গেলে সেখানে দ্বিতীয় দফায় বাদলের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায় থানার ড্রাইভার মোকলেচুর রহমান। পরে স্থানীয়রা বাদলকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালের বেডে বাদল সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে বিষয়টি পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামানকে জানালে এসপি তাৎক্ষনিক ড্রাইভার মোকলেসকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেন।
ড্রাইভার ক্লোজের খবর শুনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ি বাদল জানান, প্রথমে মারধর করল ওসি, আর ক্লোজ হল ড্রাইভার। এ যেন “উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে”! এ ব্যাপারে গৌরনদী সার্কেল এসপি নাঈমুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ক্লোজের খবর তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শুনেছেন।
থানার বিস্বস্ত সূত্র জানায়, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোকলেস পুলিশ লাইনে যোগদান করেছেন।
(টিবি/এইচআর/জানুয়ারি ১৬, ২০১৬)