২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
'গণহত্যার বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করুন'
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার লন্ডন অফিসের সংবাদে প্রকাশ করা হয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি কনফেডারেশন গঠনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর সাথে আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাওয়ালপিন্ডি নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ভুট্টো চীনা ও মার্কিন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরো বলা হয়, ২২টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী সামসুদ্দিন মোল্লা এক বিবৃতিতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামাতে ইসলামীর কুখ্যাত আল বদর, আল-শাম্স ও রাজাকার কর্তৃক পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী জানান। তিনি বলেন, দখলদার পাকবাহিনীর দোসররা ঢাকার সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাঁদের প্রায় সকলেই খুণীদের হাতে প্রাণ হারান।
জনাব শামসুদ্দিন আরও বলেন, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের এই অমানুষিক ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ফেরাউন, নমরুদ ও হিটলারের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। সারা বিশ্ব এসব প্রতিভার হত্যাকান্ডে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। সোনার বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিমূল করাই ছিল দখলদার বাহিনীর সর্বশেষ নৃশংস হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য। তাদের পৈশাচিক অভিযানের শিকারে পরিণত হয়েছে ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহক সম্পাদক প্রখ্রাত সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, দৈনিক সংবাদের শহীদুল্লাহ কায়সার, পি.পি.আই’র নিজামুদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং আরও অনেকে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫)