কবিতা নারীর যমজ বোন

রাতের নাক বরাবর দাঁড়িয়েছে
ঘড়ির কনিষ্ঠ কাঁটা
আমার ময়নাতদন্ত প্রায় শেষ
যা নিজেই করেছি।

আমাকে নিয়ে কবিতার বড্ড
বেশি বাড়াবাড়ি ছিল,
তার মনোরঞ্জনে, আমাকে
বহুবার ঘুমাতে হয়েছে
শ্মশানের জ্বলন্ত চিতায়।

আকালের রাতে আমি
পাখিদের ঠোঁট থেকে উচ্চ সুদে
ভালবাসা এনে কবিতার কণ্ঠে
পড়িয়েছি কণ্ঠহার;
বৃক্ষের একশত চুয়াল্লিশ ধারা অমান্য করে
সবুজ পাতার শিরা-উপশিরায় হেঁটেছি,
গোলাপের সুবাস আনতে
কাঁটায় রক্তাক্ত আমার
নিরুপায় আঙুলগুলো;
তবু, ... তবু কবিতা আমায় ছাড়েনি।

আমার হৃদপি-, ফুসফুস
বাতাস চলাচলের চিকন পথ
রক্তের প্রণালি সব
আজ কবিতার অনুগত।

আমাকে নিয়ে কবিতার বড্ড
বেশি বাড়াবাড়ি, তার মনোরঞ্জনে

আমি ছন্নছাড়া, উদ্বাস্তু বাউল
তদন্ত রিপোর্টে এসব সত্য তথ্যই
বারবার উঠে এসেছে।