ত্রিশালে নজরুল জন্ম জয়ন্তি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর নজরুল মঞ্চে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা মঙ্গলবার আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
পরে দুপুরে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন এম এ হান্নান এমপি, অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ এমপি, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়ের এবিএম আনিসুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন নেছা বিউটি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্মারক বক্তা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুলের শৈশব ত্রিশালে কাটলেও সংগ্রামী জীবন ও যৌবনকাল কেটেছে কুমিল্লায়। তিনি বিপ্লবী লেখা লিখেছেন কুমিল্লায়। মুলত কবি নজরুলের সৃষ্টির শুরুই হয়েছে ত্রিশালে। এজন্যই ত্রিশালবাসী গর্ববোধ করতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান নজরুলের কাজ থেকেই পেয়েছি। তার লেখনি আজো আমাদের উজ্জীবিত করে।
এদিকে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে শতকণ্ঠে স্বাগত সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। এবার গবেষক, বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক ও নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদাকে সাহিত্যে এবং বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গীত যোদ্ধা শাহীন সামাদকে সঙ্গীতে ‘নজরুল সম্মাননা-২০১৪’ প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নাটক পরিবেশিত হয়।
এদিকে কবির জন্মজয়ন্তীর তৃতীয় দিনেও ত্রিশাল লাখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল। নজরুল একাডেমী মাঠের ‘গ্রামীণ মেলা’ ও ‘বইমেলা’ এবং নজরুল কলেজ মাঠের ‘ফার্নিচার মেলা’ জমে উঠায় মেয়াদ একদিন আরো বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবারও নজরুল স্মৃতি বিজরিত কাজির সিমলা দারোগাবাড়ির নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র ও পাঠাগার এবং ত্রিশাল নামাপাড়ার নজরুল জাদুঘর দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল।
(এসইএস/এএস/মে ২৭, ২০১৪)