নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় নারী অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে।

পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়ে পরিবারের তিন নারী সদস্যকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলফোন, টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে সটকে পড়ে তারা। শুক্রবার রাতে উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামে একাব্বর হোসেনের বাড়িতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

ঘটনার শিকার নারীরা হলেন, সামসুন্নাহার (৫২), চামেলি বেগম (৫০) ও নাসরিন নেছা মনি (২৮)। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন সামসুন্নাহার জানান, স্বামীর পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে খুশি ওরফে লিজা ও পলি নামে দুই নারী শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন। ওই দুই নারী রাতে বাড়িতে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি সম্মত হন। এসময় তার স্বামী একাব্বর হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষে এক ঘরে বসে গল্প করার সময় তারা হঠাৎ করেই অচেতন হয়ে পড়েন। এ সুযোগে নারীরা স্বর্ণের কানের দুল, চেইন, দুটি মোবাইলফোন, ৫ হাজার টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

গৃহকর্তা একাব্বর হোসেন জানান, উপজেলা সদর প্রসাদপুর বাজারে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে তিনি চাকরি করেন। এ জন্য শুক্রবার রাতে বাড়ি যেতে পারেন নি। শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে স্ত্রী সামসুন্নাহার, শালিকা চামেলি বেগম ও মেয়ে নাসরিন নেছা মনিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।

তিনি আরো জানান, প্রসাদপুর হাসপাতাল মোড়ের অদুরে কোয়েলের বাড়িতে ক্লিনিকে চাকরি করার সময় কোয়েলের স্ত্রী লিজার সঙ্গে পরিচয় ও জানাশোনা হয়। কোয়েলের মৃত্যুর পর তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। গত এক বছরে লিজার সঙ্গে আর কোনো সাক্ষাত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চামেলি বেগমের জ্ঞান ফেরেনি বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির নারীদের অজ্ঞান করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভাস্কর চন্দ্র মন্ডল।

থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে এজাহার পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এলপিবি/অক্টোবর ১০, ২০১৫)