আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :  মিনায় হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে পদদলনে সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় শুরু হয়েছে লাশ শনাক্তের কাজ। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা লাশ শনাক্তের কাজটি শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে মিনায় শয়তানের স্তম্ভে পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনের এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত পর্যন্ত ৭১৭ জন নিহত এবং আরও অন্তত ৮৬৩ জনের আহত হওয়ার খবর দেয় সৌদি সিভিল ডিফেন্স। কিন্তু তাদের মধ্যে কোন দেশের কতজন আছেন, সে তথ্য এ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। সৌদি আরব থেকে আট বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে এলেও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ বা সৌদি সরকার।

আরব নিউজ জানায়, পদদলনের ঘটনার পর উদ্ধার করা লাশগুলো বৃহস্পতিবার সারা রাত ধরে হাসপাতাল থেকে মিনার মুয়াইজাম মর্গে স্থানান্তর করা হয়। এরপর মর্গে গোসল করিয়ে নেওয়া হয় লাশের ছবি ও আঙুলের ছাপ। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জনের ছবি ইতিমধ্যে মর্গে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে স্বজন বা তার দেশের হজ কর্মকর্তারা তাদের শনাক্ত করতে পারেন। হজযাত্রীরা বিমানবন্দরে নামার পর তাদের আঙুলের যে ছাপ ইমিগ্রেশন দপ্তর সংগ্রহ করেছিল, তার সঙ্গে লাশের আঙুলের ছাপও মিলিয়ে দেখা হবে।

আরব নিউজের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি সরকার এখনও তথ্য না দিলেও বিভিন্ন দেশ নিহতদের মধ্যে তাদের নাগরিক থাকার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ইরান ১৩১ জনকে তাদের নাগরিক বলেছে; মরক্কো তাদের ৮৭ নাগরিকের নিহত হওয়ার কথা বলেছে। এ ছাড়া মিসর ৮, তুরস্ক ৪ এবং আলজেরিয়া, কেনিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার তিনজন করে নিহত হয়েছে বলে দেশগুলোর পক্ষ থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর২৬,২০১৫)