স্টাফ রিপোর্টার :দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের রায় ঘোষণা করা হবে আজ।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করবেন।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে আজ আদালতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মাদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাগীব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভুইয়া। দুদকের পক্ষে থাকার কথা রয়েছে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান, রফিকুল ইসলাম সোহেল, আনোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে থাকার কথা রয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বেগম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রাকিবের।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। যেকোনো দিন রায় দেওয়া হবে জানিয়ে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান আসামি খালেদার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ৯ এপ্রিল এ মামলাটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করেন আদালত। আজ এ আবেদনের রায় ঘোষণার পর জানা যাবে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাটি বিচারিক আদালতে চলবে কি না।

খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে করা এসব মামলা হাইকোর্টের আদেশে কয়েক বছর ধরে স্থগিত ছিল। সম্প্রতি মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। গত ১৯ এপ্রিল গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি পেছাতে খালেদার চারটি সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে পর্যায়ক্রমে মামলাগুলোর রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

(ওএস/এসসি/সেপ্টেম্বর১৭,২০১৫)