নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশী গরু চোরাকারবারী এক যুবক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এপারের চোরাকারবারীরা।

শফিকুল ইসলাম (২৮) নামে ওই গরু চোরাকারবারী বুধবার ভোর রাতে সীমান্ত থেকে অন্তত ১৭ কিঃমিঃ বাংলাদেশের ভিতরে সাপাহার হাসপাতালে মারা যায়। আদৌ তাকে বিএসএফ নির্যাতন করেছে, নাকি পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা বিএসএফের ওপর দোষ চাপাচ্ছে, কিংবা চোরাকারবারীদের অভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিজিবি। বিজিবি পত্নীতলা ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবাল আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গরু ব্যবসায়ী ও নিহত যুবকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত বলদিয়াঘাট কলমুডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম (২৮) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের অভ্যন্তরে চোরাই পথে গরু আনতে যায়। বুধবার ভোরে সে আরোও কয়েক স্মাগলারের সঙ্গে দেশে প্রবেশ করার সময় ভারতের আদাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত জোয়ানরা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও শফিকুল তাদের হাতে ধরা পড়ে। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার ওপর নির্যাতন চালায়।

নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা তাকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় রাস্তার ৫নং লেদা ব্রীজের নিকট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ভোরে সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এ ব্যাপারে বিজিবি পত্নীতলা ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবাল আখতারের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, সীমান্তের প্রায় ১৭ কিঃমিঃ অভ্যন্তরে সাপাহার হাসপাতালে শফিকুলের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৪টায় পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা সেখানেই জানা যাবে বলে জানান তিনি।