নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গাছের সঙ্গে শত্রুতা করে সাহেদ নামের এক ব্যক্তির ৩২টি আমগাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার ভোরে উপজেলার কোচকুড়লিয়া গ্রামের পার্শ্বের একটি মাঠে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত গাছ মালিক উপজেলা সদরে মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সাহেদুল হক এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছেন। রবিবার সাপাহার থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০বছর আগে ওই এলাকায় তার বাবা নুরুল হকের ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত ০.৪২শতাংশ জমি তাদের ভোগ দখলে থাকা কালে উক্ত জমিতে ৩২টি আমের গাছ রোপন করেছিলেন। ঘটনার দিন ভোরে ওই গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তার কয়েক পুত্র মিলে ওই সম্পত্তি তাদের দাবি করে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ৩২টি আম গাছ কেটে জমির বেড়া উপড়ে ফেলে কর্তনকৃত ওই স্থানে একটি করে নতুন আম গাছের চারা রোপন করেন। সেই সঙ্গে জমির কিছু অংশে রোপনকৃত ধান মই দিয়ে নষ্ট করে দেন। এতে তার অনুমান লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে মর্মে সাহেদুল হক প্রতিপক্ষ নুুরুল ইসলাম, তার ছেলে তরিকুল ইসলাম, বারিকসহ ৫জনকে আসামী করে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অপর দিকে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের উক্ত সম্পত্তির দলিল পত্র দেখিয়ে বলেন, সরকারি খাস খতিয়ানের ওই সম্পত্তি পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জনৈক সিরাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি পত্তন নিলে পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে খোশকবলা দলিলমুলে তার বাবা নুরুল ইসলাম খরিদ করেন এবং এর পর ১৯৮০ সালে স্থানীয় তহশীল অফিসের মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তির খাজনা খারিজ পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি বর্তমান বাদী সাহেদুল হক দাবি করলে এ ব্যাপারে নওগাঁ কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। আগামী ১৩সেপ্টম্বর যার শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান তিনি। বিবাদমান ওই সম্পত্তি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।

(বিএম/এএস/জুলাই ২৬, ২০১৫)