বিরোধী দল হিসেবে সত্যিকারের ভূমিকা পালন করবো: রওশন এরশাদ
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, আপনারা দেখেছেন সংসদে আগের বিরোধী দলের ভূমিকা কি ছিল?
তারা সংসদ বর্জন করেছে, তাদের পলিসি ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমরা সংসদ বর্জন করবো না। সংসদে থাকবো। বিরোধী দল হিসেবে সত্যিকারের যে ভূমিকা তা অব্যশই পালন করবো।
বুধবার সকালে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রওশন বলেন, আমরা যেন সংসদে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারি তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা দেখেছেন আমরা সংসদ বর্জন করিনি। অপ্রয়োজনে অকথ্য ভাষায় কথা বলাবলি, গালিগালাজ বা ফাইল ছোড়াছুড়ি করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনসাধারণের চাহিদা বেশি নেই। তারপরও আমরা যদি তাদের সেই চাহিদাটুকু পূরণ করতে না পারি তবে আমাদের রাজনীতি করার দরকার কি?
জাতীয় পার্টির এ নেত্রী বলেন, যখন কোনো দল বিরোধী দলে থাকে তখন তারাই জ্বালাও পোড়াও করে। এতে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। সরকার ও বিরোধী দল মিলে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। জনগণের পক্ষে কাজ করবে। আমরা সেই ভূমিকাটা পালন করতে চাই। আমরা বিগত সময়ে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি। জনগণ যা শুনতে ও বলতে চায় সেই কথাগুলোই আমরা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছি। আমরা প্রয়োজনে ওয়াকআউটও করেছি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ দিয়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছিল। নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল জনগণ। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সে সময় নির্বাচন ছাড়া গতি ছিল না। এজন্যই নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। তাই নির্বাচনে গিয়ে শান্তি এনেছে জাপা।
রওশন এরশাদ বলেন, তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। পারলে আন্দোলন ভিন্নভাবে হতো। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেও নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু বিরোধী দলীয় নেত্রী আলোচনায় আসেননি।
তিনি বলেন, সে সময় যেভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাতে করে হরতাল, অবরোধ, পেট্রোল বোমাসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল জনগণ। বার্ন ইউনিটে গিয়ে আমি দেখেছি, মানুষের কি মর্মান্তিক অবস্থা। বিশ্বাস করা যায় না, একজন মানুষ কিভাবে অন্য এমন নৃশংসভাবে মারতে পারে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সে সময় নির্বাচন ছাড়া গতি ছিল না। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে।
(ওএস/এটিআর/মে ২১, ২০১৪)