নোয়াখালী প্রতিনিধি :নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগরের সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় মাছ ধরার সময় ১৯ জেলে ও মাঝিমাল্লাকে  অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।

মঙ্গলবার বিকালে এই অপহরণের ঘটনার পর জলদস্যু দল ‘কালাম বাহিনী’র প্রধান আবুল কালামকে বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে অপহৃত জেলেদের ব্যাপারে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ বা কোস্ট গার্ড।

নোয়াখালীর এএসপি (জেলা সদরদপ্তর) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার ভোরে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালামকে গ্রেপ্তার করে।

৪৫ বছর বয়সী আবুল কালাম নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। এর আগেও জেলেদের অপহরণ এবং হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এএসপি জসিম বলেন, “অপহৃত ১৯ জেলে ও মাঝিমাল্লার বিষয়ে কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

কোস্ট গার্ডের হাতিয়া কনটিনজেন্ট কমান্ডার আমজাদ হোসেন জানান, নিঝুম দ্বীপের অন্তত ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে এফ বি সুমন নামের একটি ট্রলার জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

ওই ট্রলার ও মাঝিমাল্লাদের অপহরণের পর জলদস্যুরা ট্রলার মালিক ও জেলেদের স্বজনদের কাছে বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে বলে।

হাতিয়ার জাহাজমরা মাছধরা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. রাশেদ খান বলেন, “জলদস্যু কালাম বাহিনীর সদস্যরা রাতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।”

কোস্ট গার্ড জলদস্যুদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে বলে কমান্ডার আমজাদ হোসেন জানান।

এর আগে গত ১২ জুলাই সাগর থেকে দুটি ট্রলারসহ হাতিয়ার ১৮ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। পরে তাদের দাবি অনুযায়ী বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণের টাকা পাঠানো হলে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পান।


(ওএস/এসসি/জুলাই২২,২০১৫)