কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারিক কার্যক্রম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেলানী হত্যা মামলার আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।

তিনি জানান, দ্বিতীয় দিন বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়। আজ তৃতীয় দিনের মতো বিচার কাজ শুরু হয়েছে।

৩ মাস ৫ দিন মুলতবির পর মঙ্গলবার পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ৪ মাস মুলতবি থাকার পর গত ২৫ মার্চ ফের বিচারকাজ শুরু হলেও বিএসএফ’র সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় ৩০ জুন পর্যন্ত পুনর্বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করে আদালত।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন। এ হত্যাকাণ্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মানবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফর বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।

২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় বিএসএফর বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত হয়।


(ওএস/পিবি/জুলাই ০২,২০১৫)