স্টাফ রিপোর্টার : কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন না করা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এ জন্য ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তি বিলি-বণ্টনের বিষয়ে মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কোনো ধরনের সংশোধনী আনার পরিকল্পনা নেই সরকারের।

আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আজ মঙ্গলবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এ বিষয়ে করা প্রশ্নে জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী জানতে চান, কোনো ব্যক্তির ছেলে সন্তান না থাকলে এবং তিনি এক বা একাধিক কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তার সম্পত্তির তিন ভাগের এক ভাগ ওই কন্যা সন্তানের চাচা বা চাচাতো ভাইয়েরা পাবে।

প্রচলিত স্লোগান ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট’। এ ক্ষেত্রে দুটি সন্তানই মেয়ে হলে তারা তিন ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যমান এই আইন পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না—জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী কন্যা সন্তানদের জন্য নির্ধারিত অংশ তারা পাচ্ছেন। যেহেতু মুসলিম পারিবারিক আইনে এই বিলি-বণ্টনের কথা বলা আছে, তাই সরকারের ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, গত ১২ বছরে মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে দুই হাজার ৩৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১৯টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।

সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ-ভারত ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ৩৬৪টি আইন এখনো বহাল আছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিধান অনুযায়ী, এসব আইনকে অব্যাহত রাখা হয়।

(ওএস/এএস/জুন ৩০, ২০১৫)