বরগুনা প্রতিনিধি : ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের চাল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে প্রকল্পের সভাপতিরা। 

সরকার নির্ধারিত মূল্য উপেক্ষা করে এ সিন্ডেকেট চক্র টিআর ও কাবিখা'র চাল ও গম প্রতি টন ৩৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৩ হাজার টাকায় ক্রয় করছে। ফলে সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য নেওয়া প্রকল্প ২টির উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না। বিশেষ করে এ প্রকল্পের নতুন সংযোজন সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল স্থাপন করা দুরুহ হয়ে পড়েছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কাগজপত্র ও মাষ্টাররোল তৈরী করতে টন প্রতি জেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরগুলোতে গুনতে হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। এছাড়া খাদ্য অফিসে ডিও নেওয়াসহ গুদাম কর্মকর্তাকেও গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। বরগুনা জেলায় এমন পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন।

জেলা পিআইও সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য কাজের বিনিময় খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের প্রতি টন চালের সরকার নির্ধারিত দাম ৩৫ হাজার ৪৮১ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বাজার মূল্য কম থাকায় এর দাম ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু জেলার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা প্রতি টন ১৩ হাজার টাকার বেশি দামে কিনতে নারাজ। ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেট চক্রের সাথে যুক্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিআর প্রকল্পের এক সভাপতি জানান, তার প্রাপ্ত ১ টন টিআর এর চাল মাত্র ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। যেখানে সরকারী বাজার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা। আর চাল বিক্রীর পূর্বেই মাস্টাররোলের জন্য পিআই অফিসে দুই হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রনজিৎ সরকার জানান, তার দপ্তরে টিআর-কাবিখার বরাদ্দপত্র ছাড় করা ও মাস্টাররোলের জন্য কোন টাকা নেওয়া হয় না।

(এমএইচ/পিএস/জুন ২২, ২০১৫)