স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে যত কথা হচ্ছে তার সবই অনুমান নির্ভর এবং এক শ্রেণীর লোক শূন্যের ওপর ভিত্তি করে এসব কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

সঠিক পরীক্ষা ছাড়া কেউ এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানি করা গম ‘দেখতে খারাপ হলেও খাওয়ার অনুপযোগী নয়’।

শনিবার সকালে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী এ দাবি করেন। মন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল থেকে আমাদানি করা গম লাল, ছোট ও দেখতে খারাপ হলেও তা ‘খাওয়ার অনুপযোগী’ নয় বলে খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষায় জানা গেছে। দু’বার পরীক্ষার পরও এতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।

আমাদের আসলে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না, ফলে নিম্নমানের কোটেশন দেওয়ার পরও আমরা ঠিক বুঝতে পারিনি। তবে আমরা এত গুরুত্ব দেইনি কারণ যখন অস্ট্রেলিয়া, ইউকে থেকে গম আনতাম তখন সেগুলোর মান নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি।

পুরোপুরি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগেই কেউ একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ গমের স্যাম্পল পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ স্যাম্পল দেখে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আর কেন এমন হলো তা দ্রুত বের করে এর সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ১৫-১৬টি জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আবারও ল্যাবে দেওয়া হয়েছে। যার রিপোর্ট আগামী তিনদিনের মধ্যে হাতে পাওয়া যাবে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম বিতরণ করা হলেও তা নিয়ে খুব একটা বিতর্কিত কথা-বার্তা হয়নি। আর কাউকে এ গম জোর করেও দেওয়া হয়নি ।

বর্তমানে বিভিন্ন গুদামে এখন দেড় লাখ মেট্রিক টন গম রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
(ওএস/পিবি/জুন ২০,২০১৫)