স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা চারটি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরের (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স বাতিল করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ চারটির মধ্যে সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবারিক কোম্পানিও রয়েছে।

বাকি দু’টি লাইসেন্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের, যারা ইতোমধ্যে শতাধিক কোটি টাকা বাকি রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

মঙ্গলবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় কমিশনের ১৮৪তম বৈঠকে ভিশন টেল ও টেলেক্স লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।

এ কোম্পানি দু’টির কাছে কেবল রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের অংশ হিসেবে সরকারের পাওনা রয়েছে ১৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ও ৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর বাইরে তাদের দুই বছরের লাইসেন্স ফিও বাকি। সঙ্গে রয়েছে এতোদিন টাকা আটকে রাখার জন্য বিলম্ব ফি।

এর আগে ১৮৩তম কমিশন বৈঠকে বাতিল করা হয় জাহাঙ্গীর কবীর নানকের মেয়ে ও স্ত্রীর কোম্পানি রাতুল টেলিকমের লাইসেন্স। কিছু দিন আগে কোম্পানির শেয়ার কাঠামো থেকে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উঠিয়ে নেওয়া শামীম ওসমানের কে টেলি কমিউনিকেশন্সের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়।

রাতুল টেলিকমের কাছে বিটিআরসি’র রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ পাওনা ৮৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও কে টেলিকমিউনিকেশন্সের কাছে বকেয়া ৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসি’র একাধিক কমিশনার। তবে লাইসেন্স বাতিলের আগে আইনানুসারে তাদের সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে।

এ চার কোম্পানির বিরুদ্ধেই সরকারি পাওনা টাকা আদায়ে মামলা করেছে বিটিআরসি।

এ চার কোম্পানি ছাড়াও এসএম কমিউনিকেশন্স ও বেস্টটেক লিমিটেড অনেক দিন থেকে বকেয়া পরিশোধ না করায় বন্ধ রয়েছে। যে কোনো সময় এ দু’টি অপারেটরের লাইসেন্সও বাতিল হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।


(ওএস/এসসি/জুন০৩,২০১৫)