স্টাফ রিপোর্টার :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক উন্নয়নে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

ভারতের রাজ্যসভার সদস্য এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েশুরি আজ সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ ব্যাপারে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে বহু প্রতিক্ষীত স্থল সীমান্ত চুক্তি পাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী আবারও সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ছিটমহলগুলোর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগছিল। এই চুক্তির পাসের মাধ্যমে তাদের এই ভোগান্তি ও বেদনার অবসান হলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিপুল দরিদ্র জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমরা এ অঞ্চলের দেশগুলোর সমউন্নয়ন চাই।

দরিদ্রকে এই অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে এই অঞ্চলকে মুক্ত করতে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে।

তিনি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলের অধিকতর উন্নয়নে যোগাযোগ বৃদ্ধি অপরিহার্য। এজন্য আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করেছি।

সিতারাম ইয়েশুরি নেপালে ভূমিকম্পে দুর্গতদের সাহায্যার্থে ১০ হাজার মেট্রিক টন চালসহ ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

নেপালের জন্য ত্রাণসামগ্রী পরিবহনে সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস /এসসি/মে২৯,২০১৫)