ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বেলা সাড়ে ১১টা। বিমানবন্দর সড়কে ভ্যানে ভাড়া নিয়ে ঈশ্বরদী আসছিলেন সাদিপুর গ্রামের মোমেন আলী। হঠাৎ টলে পড়ে জ্ঞান হারালেন। ভ্যানটি গড়িয়ে রাস্তা ছেড়ে নীচে নেমে এলো। যাত্রীরা লাফ দিয়ে নেমে গেলেন। মোমেনকে ধরাধরি করে নেয়া হলো রাজু সিনেমা হলের পাশে এক চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক জানালেন, হিটষ্ট্রোক হয়েছে।

এভাবে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকা হতে শুক্রবার ১০ জনের হিটষ্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে দাশুড়িয়া তেঁতুল তলায় আফসার ও হারুন, আইকে রোডে রহমত ও মিজান দেওয়ান, মুলাডুলিতে খায়বর ও তুহিন বিশ্বাস এবং শহরের আলহাজ্ব মোড়ে রওশন আলী ও জাহিদুল।

ঈশ্বরদীতে অব্যাহতভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ঈশ্বরদী। প্রখর রোদে পুড়ছে পথ-ঘাট। বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। দিনভর তাপপ্রবাহ ও রাতে ভ্যাপসা গরমে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রী। বাতাসের আর্দ্রতা সকালে ছিল ৩৯.২ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ২৮.৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার এখানকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী থাকলেও এক দিনের ব্যবধানে ২.৫ ডিগ্রী বেড়ে যাওয়ার পাশাপশি বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ায় গরম আরও বেশী অনুভূত হচ্ছে। ফলে তীব্র গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে গাছে আম শুকিয়ে ঝড়ে যাচ্ছে। পাশাপশি গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। অব্যাহত তাপমাত্রায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের সীমা চরমে পৌঁছেছে।

(এসকেকে/পিএস/মে ২২, ২০১৫)