‘শিশুদের জন্য বাস্তবমুখি শিক্ষার চিন্তা করতে হবে’
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আমার কাছে বাংলাদেশ খুব ভাল লাগে। বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। এদেশের খাবার বিশেষ করে শাক ও আলু ভর্তা অনেক ভাল। আমি দু’বছরের জন্য বাংলাদেশে এসেছি, সাত মাস হয়ে গেছে।
এ দেশের শিশুদের মেধা শক্তি অনেক বেশী। শিশুদের সঠিক ভাবে শিক্ষা দিতে পারলে দেশ উন্নয়ন করা সম্ভব। একদিন বিশ্বের কাছে উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করা যাবে। দেশে শিশুদের কিছু স্কুল আছে, সেখানে কাজ করি। আমার কাছে বাংলা ভাষা বলতে ভাল লাগে। আমাদের স্কুলে সুশৃংখল শিক্ষা এবং অপর ব্যক্তির বুদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের মন এবং স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। এভাবেই বলছিলেন জাপান থেকে আসা জাইকার শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিওরি ইয়ামা গুচি। বরিশালের আগৈলঝাড়া শাত শিমুলিয়া প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে একথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাইকা বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য প্রায় ৪০ বছর যাবত অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছে। তাতে শিক্ষার্থীদের কি উন্নতি হচ্ছে তা দেখার জন্য এসেছি। শিশুদের সহজে শিক্ষা দেওয়ার জন্য উপায়গুলো বোঝানোর জন্য এসেছি। আমরা শিক্ষকদের বুঝিয়েছি। শিক্ষকরা শিশুদের মা-কে বোঝাবে। শিশুর জন্য বাস্তব মুখি শিক্ষার চিন্তা করতে হবে। শিশুরা যাতে সহজে বুঝতে পারে। বাংলাদেশের শিক্ষকরা শুধু জোরে জোরে বলে যাচ্ছে, যা শিশুরা মনে রাখতে পারে না। বাংলাদেশের শিক্ষার যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করতে সময় লাগেবে। ভালো করা জন্য নিজেদের আরও চেষ্টা করতে হবে।
জাইকার অর্থায়নে সেচ্ছাসেবি সংস্থা বেসিক ডেভেলপমেন্ট পার্টনাস (বিডিপি)র মাধ্যমে জেলার আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও গৌরনদীতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি প্রর্যন্ত ১৯টি স্কুল পরিচালনা করছে।
(টিবি/এএস/মে ২০, ২০১৫)