আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মুক্তি যোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বয়কটের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কেতনার বিলের গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে গণহত্যা দিবস পরিষদের উদ্যোগে রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উদ্যাপন কমিটির সভাপতি নুর মোহম্মদ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস।

অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়েনের রাংতা গ্রামের কেতনার বিলে আট গ্রামের নিরীহ বাংঙ্গালীকে পাকিস্তানী সেনারা নির্মমভাবে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এদিন অন্তত দেড় হাজার নারী পুরুষকে হত্যা করা হয়। অনেক জন প্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা স্মরনিকায় বানী প্রদান করলেও স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই সকল শহীদদের স্মরণে কোন সৌধ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেনি তারা। এমনকি রাষ্ট্রিয়ভাবে স্বীকৃতি মেলেনি দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ বধ্য ভুমির। গতকাল প্রথমবারেরমত কেতনার বিলে শহীদদের স্মরণে স্মৃতি চারণ, আত্মার মাগফেরাত কামনা, দোয়া ও গনহত্যার স্মরনিকা-৭১ উন্মোচন করা হয়েছে। প্রধান অতিথীসহ অন্যান্য অতিথীরা কেতনার বিলের গনহত্যা দিবসের স্মারক গ্রন্থ উন্মোচন করেন। পরে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক শিক্ষক মহাদেব চন্দ্র বসু। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন, প্রভাষক একরাম হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মোল্লা, শহীদ সিপাহী আলাউদ্দিনের ছেলে লিটন আবদুল্লাহ, রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার, রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার রেজাউল করিম, স্থানীয় রনজিৎ বৈদ্য, মনোজ গোমস্তা প্রমুখ।

এদিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ গনহত্যা দিবসের অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ সরদার অভিযোগ করেন, আয়োজকরা কমান্ডারের বানী নিলেও তারা প্রকাশিত স্মরনিকায় তা প্রকাশ করেনি। এছাড়াও স্মরনিকায় যথেষ্ট অসংগতি রয়েছে। বিশেষ করে মুজিব বাহিনীর প্রধান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে খাটো করে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও এলাকার অনেক গুনীজনদের অবদানের কথা তুলে ধরেনি আয়োজকরা।

(টিবি/এসসি/মে১৫,২০১৫)