ময়মনসিংহে ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় আব্দুল করিম (৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর ক্লিনিকের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিক ঘেরাও করে ওই ক্লিনিকের এক কর্মচারীর কাছ থেকে রোগী মৃত্যুর ছাড়পত্র আদায় করে লাশ নিয়ে যান।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, কিডনিতে পাথর হওয়ায় গত রবিবার রাতে শহরের চরপাড়া ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের পাশেই ইডেন ক্লিনিকে ভর্তি হন সদর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের পাগলা বাজার এলাকার রাজমিস্ত্রী আব্দুল করিম।
পরদিন সোমবার রাতে ক্লিনিকটির চিকিৎসক শহীদুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম তার অপারেশন করেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই রোগী মারা যান।
নিহতের ছেলে সোহাগ কবির জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাবার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দু’তিনবার খিঁচুনি দেয়। এ সময় ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। রাতে বাবা মারা যাওয়ার পর ক্লিনিকে থাকা একজন সেবিকা ও অন্য কর্মচারীরা পালিয়ে যান।
তিনি অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তার বাবা মারা গেছেন।
নিহতের ভাগ্নে শফি আহমেদ দীপু জানান, স্থানীয় বয়রা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও ক্লিনিক মালিকরা ওই কেয়ার টেকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র এনে দিয়েছেন। লাশ দাফনের পর আমরা এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
নিহত রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্লিনিক মালিকদের মধ্যস্থতার বিষয়টি দাবি করা হলেও এ ব্যাপারটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ ক্লিনিক ডায়াগনোস্টিক অনার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আ.ন.ম.ফজলুল হক পাঠান। তিনি জানান, এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটলে আমি জানতাম।
এসব ঘটনার পর ক্লিনিকটির প্যাডে থাকা দু’টি গ্রামীণ ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ক্লিনিকটির পরিচালক শামীম আহমদেকেও। অবশ্য তিনি গা ডাকা দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে রোগীর পরিবারের তরফ থেকে।
(ওএস/এইচআর/মে ১৪, ২০১৪)