স্টাফ রিপোর্টার : ভীষণ উৎকণ্ঠা নিয়ে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসেছিলেন কফিল উদ্দিন (৬২)। ভেবেছিলেন, ছোটভাই মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হবে। কিন্তু প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি বাসার উদ্দেশ্যে ফিরে গেলেন।

নিজ গন্তব্যের পথে যেতে যেতে মুঠোফোনে রাত ১০টার দিকে বাংলানিউজকে বললেন, নিরাপত্তা উঠাইয়া নিছে। শুধু মিডিয়া আর পাবলিক পীড়াপীড়ি করতাছে। সাংবাদিকরা ফোন কইরা বলতাছে, আইজকা আর মনে হয় ফাঁসি অইবো না। এককান-দুইকান কইরা এ কথা শুইন্ন্যা কেউ আইয়া পড়তাছে। কেউ থাকতাছে। আমি আধঘণ্টা কারাগারের সামনে থাইক্ক্যা রওনা করছি। ছোটভাই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবরে শেরপুরের বাজিতখিলা থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি।

ফাঁসি কার্যকর নিয়ে তিনি বলেন, আইনজীবীদের কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফাঁসির খবর অইলে জানাইবো। এখন পর্যন্ত জানায় নাই। মনে হয় ফাঁসি পিছাইছে। এর আগে, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কামারুজ্জামানের বড়ছেলে হাসান ইকবাল ফোন করেন বড়চাচা কফিল উদ্দিনকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসান ফোন কইরা বললো, আপনি ওইখানে যান। আমরা আইতাছি।

আবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ফোন কইরা কইলো, আইনজীবীরা না বললে যাইয়া লাভ নাই। আপনি আইসা পড়েন। এরপর আমি রওনা দিছি। কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার কারাগারের সামনে গিয়েছিলেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনজীবীরা তো যাবার কথা বলে নাই। না বললে তো গিয়া লাভ নাই। রাত ৮টার দিকেও আইনজীবীরা জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছে। তারা বলছে, ফাঁসি অইলে জানাইবো।

(ওএস/পি/এপ্রিল ১১, ২০১৫)