আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করে আটকের পর পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের তিন নেতাসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

থানায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা কর্তৃক ২৩ মার্চ স্বাক্ষরিত নির্বাচন স্থগিতাদেশের পত্র নিয়ে তার অফিস সহকারী মো. আবুল হোসেনকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন।

ওই পত্র নিয়ে আবুল হোসেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নোটিশ বোর্ডে নির্বাচন স্থগিতাদেশ পত্র লাগালে নির্বাচনী প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার, প্রার্থী ও বাগধা ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া, প্রার্থী ও বাকাল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি খন্দকার এমদাদুল হক আলমগীরের নেতৃত্বে একাধিক প্রার্থী ও তাদের সমর্থক আবুল হোসেনকে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এসময় তারা আবুলকে লাঞ্ছিত করে একটি কক্ষে আটক রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আবুলকে উদ্ধার করে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ ঘটনায় ওই দিনই প্রিসাইডং অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা ৪১.০১.০৬০২.০০১.২২.০০১.১৫-৬৯ নং স্মারকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে আবুলের অভিযোগনামা দাখিল করেন।

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং অফিসার সুশান্ত বালাকে প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন মোবাইল থেকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ২৪মার্চ তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং (নং-৮৭১)। এঘটনায় আবুল হোসেন বাদী হয়ে আজ শুক্রবার উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশ, পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির গভর্নিং বডির নিবার্চনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়।

আদালতে চলমান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার সুশান্ত বালা ২৩ মার্চ ওই নির্বাচন স্থগিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা কর্মচারীকে সরকরি কাজে বাধা দিয়ে লাঞ্ছিত করে আটক রাখলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

(টিবি/এসসি/মার্চ২৭,২০১৫)