মাদারীপুর প্রতিনিধি:মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ঝাউতলা এলাকার অঞ্জন বিশ্বাসের স্ত্রী অনামিকা বিশ্বাস পুতুল (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘরের আড়ার সাথে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অনামিকার পরিবারসহ সকলকে জানানো হয়। শনিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। অনামিকার পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে ঝালকাঠির সদর কাঠপট্টি সড়ক এলাকার বিমল রায়ের মেয়ে অনামিকা রায় পুতুলের সাথে মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার ঝাউতলা গ্রামের অধীর বিশ্বাসের ছেলে অঞ্জন বিশ্বাসের বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে এ পর্যন্ত তাদের কোন সন্তান হয়নি। ৪/৫ দিন আগ থেকেই পুতুল তার পরিবারের লোকদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে আসছিল স্বামী অঞ্জন তার সাথে ঝামেলা করছে। শুক্রবার রাতে পুতুলের মৃত্যুর পর অঞ্জন তার স্ত্রীর লেখা ৬ পাতার একটি চিঠি শতাধিক ফটোকপি করে সকলের কাছে বিলি করে। চিঠিতে লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না‘। এ চিঠির কারণে বিষয়টি রহস্যজনক বলে সকলের ধারণা।

অপরদিকে নিহত পুতুলের বাবার বাড়ির পরিবার থেকেও হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুতুলের ভাই বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র অভিজিৎ রায় বলেন, আমার বোন গত কয়েকদিন ধরে অঞ্জন তার সাথে খারাপ আচরণ করছে বলে জানায়। আমার বিশ্বাস আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
স্বামী অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, পুতুল আত্মহত্যা করার আগে একটি চিঠিতে লিখেছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।

কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্দু বালা বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনো বলা যাবে না। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলেই নিয়মিত মামলা হবে। তবে একটি ইউডি মামলা নেয়া হয়েছে।

(এএসএ/এসসি/জানুয়ারি২৪,২০১৫)