রৌমারীতে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গুয়াপাড়া চরের গ্রামে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের পুত্র নসকের, হামিদ ডিলার এর পুত্র সাজু, ওসমানের পুত্র আকতার ও আবুল হোসেনের পুত্র রফিয়াল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন চান মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
চান মিয়া জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গায়ের জোরে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও লাঠি সোটা সহ ৫০-৬০ জন লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তারা জমিতে ঘর উঠায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদি-বিবাদীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ। তিনি আরও জানান, জিনজিরাম নদীর চরের খাস জমি ১৩৫১ বাংলা সালে সরকারের কাছে বন্দোবস্ত নেন রিয়াজ উদ্দিন আকন্দ। বন্দোবস্ত সূত্রে ১৩৬২ সালে ভূমি রেকর্ডও পান তিনি। যার খতিয়ান নং ১০২ দাগ নং ১৩৩। সেই থেকে ভোগ দখল করা অবস্থায় তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশগণ ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় গত ৪ ডিসেম্বর জমিতে থাকা মাশ ডাল ক্ষেত নষ্ট করে জোর পূর্বক করে ঘর উঠায়। তবে হামিদ ডিলার বলেন, এই জমি আমিন উদ্দিন, বাহর উদ্দিন ও ইবাজুল্লা বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করলেও তাদের নামে ৬২ তে রের্কড হয়নি। এমতাবস্তায় আমাদের নিকট বিক্রি করে। দলিল মুলে আমরা ভোগ দখলে আছি। মূত রিয়াজ উদ্দিনের ওয়ারিশ চাঁন মিয়া বলেন আমরা রেকর্ড সূত্রে মালিক। ২১ সাল পযর্ন্ত খাজনা দেওয়া আছে। গত কয়েক মাস থেকে তারা জবরদখল করার চেষ্টা করলে আমি আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে নোটিশ দিলে তারা নোটিশ গ্রহন করেনি। এমনকি আদালতে হাজিরাও দেননি।
গত ১ ডিসেম্বর মামলার তারিখ ছিল বিবাদি পক্ষ সময়ের আবেদন দেন বিজ্ঞ আদালত আবেদন গ্রহন না করে একতরফ সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এটা শুনার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে জোর পূর্বক জমি জবরদখল করে ঘর উঠায়। তিনি আরো জানান, আমাদের জমির খতিয়ান নং ১০২ দাগ নং ১৩৩। আর তারা ক্রয় করেছে ২০১ খতিয়ানের খাস জমি। আমরা গরিব এবং আমাদের জনবল নেই বিধায় তারা জোরপূবর্ক আমাদের জমিতে থাকা মাসকালাই নষ্ট করে ঘর উঠিায়েছে। এ বিষয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ করা হলেও ওসি আমার মামলা নেয়নি। একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আইনুল হক বলেন ম্যাপ দিয়ে সঠিক মাপ দিলে এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে। তবে এই জমি চান মিয়ারা দীর্ঘ দিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। গত ৪ ডিসেম্বর বিবাদিরা জোর পূবর্ক ঘর তুলেছে। এটা দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হতে পারে।
(আরআইএস/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৪)