গোপালগঞ্জে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানসহ অন্য ফসলের ক্ষতি
.jpg)
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধান ও পাটের ক্ষতি হয়েছে। এতে জমিতে ধান হেলে পড়ায় এবং পাটের মাথা ভেঙ্গে যাওয়ায় ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন কৃষকরা।মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতিতে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে পাটের মাথা ভেঙ্গে বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির পরিমান এখনো নিরুপন করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ বলছে, পাকা ধান কৃষকেরা দ্রুত কেটে নিলে ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।অন্যদিকে, পাটের মাথা ভেঙ্গে গেলেও সঠিক পরিচর্চা করলে এই পাট গাছ আবার সতেজ হয়ে উঠবে।
গোপালগঞ্জে সোমবার জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। তবে বিকাল সাড়ে ৪টার জেলার মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে কয়েকটি স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়। মাত্র ৫ মিনিটের ঝড়ে বোরো ধান জমিতে হেলে পড়ায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সেই সাথে বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি জমে থাকায় পাকা ধান গজিয়ে নষ্ট হবার আশংকায় রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষানী ফুলমালা বালা বলেন, বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধান মাটিতে গড়িয়ে যাচ্ছে।এ ধান শুকাতে না পারলে গজিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষক সুশান্ত বালা বলেন, গোপালগঞ্জ সদরে শিলা বৃষ্টি না হলেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জমির পাকা ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।এসব ধান দ্রুত কটতে না পারলে জমিতে পানি থাকায় ধান গজিয়ে যাবে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে পাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বোরা ধান মাটিতে হেলে পড়েছে, তবে ক্ষতির পরিমান কম হবে। পাটের পরিচর্চা ও মাঠ থেকে ধান দ্রুত কেটে নিতে পারলে ক্ষতির পরিমান কমানো সম্ভব। তবে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
(টিবি/এএস/এপ্রিল ২৯, ২০২৫)