পাঁচ কিলোমিটার সড়কের কারণে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
.jpg)
আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ২০টি গ্রামের মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রীস্ম মৌসুমে ধুলো আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে সড়কটি চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পরে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে পাঁচ কিলোমিটারের পুরো সড়ক দিয়ে যানবাহনতো দূরের কথা জনসাধারণের পায়ে হেঁটে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট-আমবৌলা ও সাতলা সড়কটি দীর্ঘ সাত বছর পূর্বে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাকা করণের কাজ করেন। গত দুই বছর ধরে সড়কের বিভিন্নস্থানের পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের অধিকাংশস্থানের কার্পেটিং উঠে কাঁচা সড়কে পরিনত হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি দিয়ে বাধ্যহয়ে জনসাধারণকে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। এমন দুরাবস্থাপূর্ণ সড়ক পুরো উপজেলায় আর একটিও নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেও কোন সুফল মেলেনি। তিনি আরও জানান, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পয়সারহাট-আমবৌলা ও সাতলা সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ওইসব এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র নাথ চক্রবর্তী বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে ওই সড়কটির দুরাবস্থার কথা শুনে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। আসলেই সড়কটির অবস্থায় চরম বেহাল। তাই ওই বেহাল সড়কসহ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে আরো কয়েকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক জরুরিভাবে সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি ও বরাদ্দ আসলেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
(টিবি/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২৫)