দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর শহরে আট বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আমিরুল মৃধা (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। এ সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আমিরুল মৃধা বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ কালিবাড়ী মহল্লার পিয়োন কলনী সংলগ্ন আকবর মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

ওই শিশুটির মা একই এলাকার একটি মেসে রান্না করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্বামী প্রবাসী। ওই সময় শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।

আদালত ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ জুন ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে আমিরুল একটি মেসের রান্না ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই বছর ২০ জুন আমিরুলকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান গত ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি (সরকারি কৌশলী) গোলাম রব্বানী ভুইয়া বলেন, রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় প্রদানের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আশাবাদ ব্যাক্ত করে পিপি আরও বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা কমতে এ রায় ভুমিকা রাখবে। ধর্ষণ করে কেউ পার পাবে না এ রায় তার একটি বার্তা বহন করেছে।

(ডিসি/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০২৫)