শিশু জুঁইকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫
.jpg)
চাটমোহর প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে ৭ বছরের শিশু আকলিমা খাতুন জুঁইকে ধর্ষণ (দলবদ্ধ) ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাটমোহর, বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ও নাটোরের ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার কওে আদালতে সোপর্দ করেছে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁন্দাই ইউনিয়নের বড় গারফা গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে আকলিমা খাতুন জুঁই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদি (১৬), দুলাল হোসেনের ছেলে শাকিব (১৬), সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫) , দিয়ারগাড়ফা গরমাটি গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম (১৩) চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬)।
আজ রবিবার দুপুরে চাটমোহর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং করেন চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম। তিনি বলেন গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে শিশু আকলিমা খাতুন জুঁই তার দাদির বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় জুঁই দাদির বাড়ি থেকে চলে আসলেও বাড়িতে আর ফেরেনি। পরের দিন সকালে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ভূট্টা ক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জুঁই এর মা মোমেনা খাতুন বাদি হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই চাটমোহর ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ হত্যার সূত্র উদঘাটনে নেমে পরেন। ৪ দিনের ব্যবধানে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ওসি আরোও জানান, শিশুটিকে গনধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেছে।
গ্রেপ্তাকৃতদের রবিবার দুপুরে পাবনার আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। তারপর থেকে তার কোন খোঁজ পায়নি পরিবার। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার তথ্য পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পাঁচজনই জুঁই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর পুলিশ জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
(এসএইচ/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৫)