আলোচনার ঝড়
বাড়িয়াহাটে ৬ মিষ্টি বিক্রেতার কাছ থেকে দের লাখ টাকা খাজনা আদায়

বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বড়িয়াহাট বৈশাখী মেলায় ৬ জন মিষ্টি বিক্রেতা (দোকানীদের) কাছ থেকে দের লাখ টাকা খাজনা আদায় করা হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সোনাতলার নিকটবর্তী শিবগঞ্জের বড়িয়াহাট মেলা কমিটির বিরুদ্ধে।যদিও দায়সারা বক্তব্য মেলার ইজারাদারের। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বসেছে বৈশাখী মেলা। তবে এ মেলা উপলক্ষে সপ্তাহ খানেক আগে থেকে ধারদেনায় টাকা জুগিয়ে নানা রকমের মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দোকানিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, মেলার তৃতীয় দিন গত (১৯ এপ্রিল শনিবার) রাত নয়টায় কমিটির লোকজন এসে খাজনা চাইলে আমরা আশপাশ ৬টি দোকানদার পাঁচ হাজার টাকা করে মোট পঁচিশ হাজার টাকা দেয়। এসময় কমিটির লোকজন দোকান প্রতি পঁচিশ হাজার টাকার রশিদ ধরিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিক জোরজবরদস্তি করে দের লাখ আমাদের কাছ থেকে আদায় করে। এমনকি টাকা দিতে দেরি হওয়ায় কারণে ক্রেতাদের সরিয়ে দিয়ে ঝুট ঝামেলার সৃষ্টি করে কমিটি। যদিও মিষ্টি বিক্রেতাদের দাবি কমিটিকে এতো টাকা দেওয়ার ফলে লাভ তো দুরের কথা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
এদিকে বাড়িয়াহাটের বেলাল ইসলাম জানান, মেলার দ্বিতীয় দিনে পুকুরের মাছ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি শেষে ২ হাজার টাকা খাজনা দিতে হয়েছে।
অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, বাড়িয়া হাটে প্রতিবছর বৈশাখী মেলা বসে তবে ইতিপূর্বে এ মেলায় এভাবে মাত্রাতিরিক্ত টাকা আদায় করতে দেখিনি। যেভাবে জোরজবরদস্তি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলো হয়তোবা আগামীতে এ মেলায় দোকান নিয়ে আমরা আসবোনা বরং অন্যকেও আসতে নিষেধ করবো।
বিষয়টি স্বীকার করে ইজারাদার মাহমুদ হোসেন তৌফিক বলেন, ৪ দিন মিষ্টি বেচাকেনা করেছে দোকানিরা, ৬ জন দোকানীর কাছ থেকে দের লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। প্রশ্ন ছিল শুধু ৬টি মিষ্টির দোকানে দের লাখ টাকা আদায় হলে পুরা মেলায় কত টাকা আদায় হয়েছে উত্তরে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউর রহমান কে অবগত করলে তিনি বলেন, এসংক্রান্ত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মেলাটি ভ্যাট সহ ১ লাখ ৭২ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন।
(বিএস/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৫)